

বলী খেলা মানে কুস্তি প্রতিযোগিতা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তিকে বলী খেলা নামে ডাকা হয়। ১৯০৯ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন চট্টগ্রামের জমিদার আব্দুল জব্বার সওদাগর। মূলত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় তরুণ প্রজন্মকে শারীরিকভাবে সমর্থ করার ধারণা থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন জব্বার সওদাগর। তাঁর নিজের নামেই এই বলী খেলার নামকরণ করেন জব্বারের বলীখেলা।
শুরুর দিকে মূলত লালদিঘী এলাকার বলীরাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতেন। সে সময় এলাকায় ঢোল বাজত, সাথে থাকতো কুস্তিগীরেরা। বলীরা সেই সময় মাস দু’য়েক আগে এসে জড়ো হতেন জব্বারের বাড়িতে। বাড়িতে একটা বড় বৈঠকখানা ছিল যেখানে বলীরা থাকতেন। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি সাত বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দিদার বলী।
এখানে পাঁচটি ধাপে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। প্রথম বাছাইয়ের পরের রাউন্ড পর্বে ৫০ জনকে নিয়ে খেলা হয়। সেখান থেকে ২৫ জন যায় মূল চ্যাম্পিয়ন পর্বে। এখানে পয়েন্ট কোন পয়েন্ট ব্যবস্থা নেই। কুস্তি করতে করতে মাটিতে যার পিঠ যে ঠেসে ধরতে পারবে সে-ই বিজয়ী হবে। এছাড়া বলী খেলাকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা চলে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা বিক্রেতারা গ্রামীণ নানা সামগ্রী নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেন। সেটিও মেলার অন্যতম আকর্ষণ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.